হাসিনাকে ফেরত দিন, আইনের মুখোমুখি করুন

ডেস্ক রিপোর্ট
১ নভেম্বর ২০২৫, ১:৫১ অপরাহ্ণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত সরকারকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিন এবং তাকে আইনের মুখোমুখি করুন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, বাংলাদেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে না।

 শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। এক দিন নয়, টানা ১৫ বছর আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাজিত করার জন্য, শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সংগ্রাম করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন সংগ্রাম করেছিলেন, আমরাও তেমন সংগ্রাম করেছি।

তিনি বলেন, আমরা এই অবস্থার মধ্যে যুদ্ধ করেছি, সংগ্রাম করেছি। আমাদের ইলিয়াস ভাইসহ ১৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে, ২০০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিবাদী দানবীয় রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিল। আমরা সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করেছি।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল। আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের পর সভা করে বলেছিলাম- তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই। যে অপশক্তিগুলো এখন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, নির্বাচন হলে তারা সুযোগ পেত না।

অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ‘নোট অফ ডিসেন্টের’ কথা বাদ দিয়ে তারা নতুন করে কিছু ভিন্নও প্রস্তাব সামনে এনেছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সাথে প্রতারণা। তারপরও আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স করেছি। আমরা রাস্তায় যাইনি, প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও করিনি, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধে আন্দোলন করছে, সরকারকে চাপ দিচ্ছে যেন তাদের কথাই যেন মানা হয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হবে- এটি ঘোষণা হয়েছে। গণভোটের প্রসঙ্গে আমরা রাজি হয়েছি। আলাদা করে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু আমরা বলেছি নির্বাচনের দিনই গণভোট করা হোক, এতে খরচ কমবে। কারণ আলাদা গণভোটে প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। তাই নির্বাচনের ব্যালটে দু’টি বিষয় থাকবে- একটি সংসদ নির্বাচন, অন্যটি গণভোট। এটা ছিল একটি যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, কিছু মানুষ জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। পিআর (PR) দাবি নিয়ে যারা এসেছে, সেটি আলোচনায়ই ছিল না। আজ তারা জোট বেঁধে রাস্তায় আন্দোলন করছে, সরকারকে হুমকি দিচ্ছে- ‘আজই হতে হবে, না হলে নির্বাচন হতে দেবো না।’ এটা মানুষকে বিভ্রান্ত করা।

প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন ‘যেকোনো সময় হামলা হতে পারে’। কিন্তু তিনি বলেননি, হামলা কোথায় থেকে আসবে বা কারা করবে। এটা জাতিকে জানানো উচিত ছিল। জাতি প্রস্তুত আছে যেকোনো হামলা প্রতিরোধ করতে, আমরা প্রস্তুত’, জানান মির্জা ফখরুল।

এ সময় উপস্থিত বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর ( অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।


এই বিভাগের আরো খবর