নরসিংদীর রায়পুরা থানায় একটি হত্যা মামলায় পলাতক থাকা গোলাপগঞ্জের কাওছার হোসেন (৩৫) অবশেষে র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেট মহানগরীর কদমতলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর একটি বিশেষ অভিযানে কাওছারকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরায় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কাওছারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি রায়পুরা থানার ১০(৮)১১ নম্বর হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট গৃহীত হলে চলতি বছরের ৫ মার্চ কাওছারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাওছারকে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে তাকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শুধু হত্যা মামলার আসামিই নন, কাওছার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সিলেট ও গোলাপগঞ্জ অঞ্চলে মোটরসাইকেল চুরি, মাদক সংক্রান্ত লেনদেন এবং নানা অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন। গা-ঢাকা দিয়ে থাকা অবস্থায় তিনি পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্ল্যা জানান, “র্যাবের মাধ্যমে হস্তান্তরের পর শুক্রবার (২০ জুন) সকালে কাওছারকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
গ্রেফতারকৃত কাওছার হোসেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রনকেলী উত্তর (টিকর বাড়ি) খাসি খাল গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত আওলাদ আলীর ছেলে।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ড ছাড়াও তার অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ডের ওপর নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কাওছারের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।